টাঙ্গাইলের সখীপুরে গেম খেলার জন্য মায়ের কাছে মোবাইল কেনার আবদার করে না পেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ১০.৩০ টায় সখীপুর উপজেলার ঘোনারচালা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওই কিশোরের নাম আশিক আহমেদ (১৩)। সে ঘোনারচালা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত আশিকের বাবা মালেশিয়া প্রবাসী আলী আকবর। তিনি প্রবাসে থাকায় নিহতের মা ছালমা বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে ঘোনারচালা গ্রামে থাকেন।
নিহতের মা ছালমা বেগম জানান , আশিক দিনের বেশির ভাগ সময় তাঁর মুঠোফোন নিয়ে গেমস খেলত। ঘটনার দিন সকালে মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় আশিক মায়ের মুঠোফোনটি বাসায় রেখে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু তিনি ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে আসেন। এতে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আশিককে কান্না করতে দেখেছিলেন। কিছুক্ষণ পর আশিকের দাদি ঘরে দেখেন গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আশিকের লাশ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে ছালমা বেগম বাড়িতে আসেন।
পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । আশিকের স্বজনেরা ধারণা করছেন মায়ের কাছে মুঠোফোন না পেয়ে আশিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সাইদুল হক ভুইয়া জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুঠোফোন না দেওয়ায় ওই স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হারিছ (বিএসসি) বলেন, অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য মুঠোফোন ও গেমস এক ধরনের নেশা। মুঠোফোনের নেশায় আসক্ত হয়ে অনেক কিশোর-কিশোরীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে ।