https://public-voice24.com/wp-content/uploads/2022/03/favicon.ico-300x300.png
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পলকঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না

পাবলিক ভয়েস
মার্চ ৭, ২০২২ ৮:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আইসিটি বিভাগের পক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেন। দেশের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দায়বদ্ধতার কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের নান্দনিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭৪ শতাংশ তরুণের কাছে বঙ্গবন্ধু মানেই ৭ মার্চের ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে শুধু চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারাজীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা ও ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন। এ ভাষণেই তাঁর সুগভীর দার্শনিক চিন্তা ও গণমুখী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছিল। তাঁর এই সুকৌশল বার্তা বাংলার জনগণ যথার্থই অনুধাবন করেছিল, তাই তখন থেকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে তিনি যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। বৈশ্বিক স্বীকৃতি এবং সহানুভুতি তৈরির ক্ষেত্রেও এই ভাষণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে। স্বতঃস্ফূর্ত অথচ সুগঠিত এ ভাষণটি ছিল একই সঙ্গে আবেগ ও যুক্তিতে পূর্ণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অব্যাবহিত পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুণর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে অত্যন্ত সুকৌশলে আড়াল করে রাখা হয়। যে জয় বাংলা স্লোগানে মুক্তিযু্দ্ধের দিনগুলোতে বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত ছিল, অত্যন্ত সুকৌশলে সেই স্লোগানকে আড়াল করে রাখা হয়েছে। যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সেই নেতাকে একটি প্রজন্মের কাছে একেবারে আড়াল করে রাখে একটি গোষ্ঠী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনও নির্দিষ্ট দল, গোষ্ঠী বা দেশের নন, তিনি বিশ্বের একজন অবিসংবাদিত নেতা।

এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বিভাগের দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচন করেন এবং তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।