ইউক্রেন সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা, বেতন-ভাতা ও পেনশন প্রদানে সহায়তার জন্য ৭০ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল বরাদ্ধ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, জাপান, ডেনমার্ক, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং আইসল্যান্ড এই প্যাকেজে অর্থ যোগান দিচ্ছে।
রুশ সামরিক হামলায় ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় ঘটেছে। দেশটির আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মিত্র দেশগুলো বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেন ও প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্য তিনশো কোটি ডলারের একটি তহবিল ছাড় করার ব্যাপারে তারা কাজ করছে।
ইউক্রেন থেকে ১৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এসব শরণার্থীদের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও আর্থিক সহায়তার পরিকল্পনা করছে বিশ্বব্যাংক।
সামরিক অভিযান শুরুর এক সপ্তাহ আগে কৃষ্ণ সাগরের প্রবেশপথ রুশ বাহিনী বন্ধ করে দেয়। এ কারণে ইউক্রেনের বাণিজ্যিক জাহাজ কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করতে পারেনি। এরপর অভিযান শুরু হওয়ায় আর ওই পথ খুলে দেওয়া হয়নি।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করে রুশ সেনারা। এ ছাড়া, তারা দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থাপনাও ধ্বংস করেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেন সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে শরণার্থী সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। ফলে সেখানে আর্থিক সংকটের পাশাপাশি বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ইউক্রেনে যেকোনো আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠতে সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও আর্থিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।