পাঁচ বোলার নিয়ে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। সাকিব-তাসকিন-শরিফুল-মোস্তাফিজ ভালো বল করলেও মিরাজ শুরুতে ছিলেন ছন্নছাড়া। প্রথম ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৮ রান। যে কারণে মাহমুদউল্লাহকেও হাত ঘোরাতে হয়। শেষের দিকে গিয়ে সেই মিরাজই আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছ থেকে বল চেয়ে নেন। অধিনায়ক তার ওপর আস্থা রেখে বলও দিয়েছিলেন। আর মিরাজ আস্থার প্রতিদান দিতে বিন্দুমাত্র সময় নেননি।
প্রথম ৪ ওভারে মিরাজ খরচ করেছিলেন ৩৮ রান। সেখানে শেষ স্পেলে এসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিয়ে নেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় স্পেলে ৫ ওভার বোলিং করে ২৩ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। ডানহাতি অফ স্পিনারের হিসেবে ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বোলিং করা বেশ কঠিনই ছিল মিরাজের জন্য। তবু ডানহাতি ব্যাটারদের অনসাইডে বড় বাউন্ডারি রেখে টানা ৫ ওভার বোলিং করে গেছেন। সব মিলিয়ে ৯ ওভারে ৬১ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট।
নিজের শেষ স্পেলটি করার জন্য অধিনায়ক তামিমের কাছ থেকে বল চেয়ে নিয়েছিলেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে তামিম জানিয়েছিলেন, প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রান দেওয়ার পরেও আত্মবিশ্বাস ছিল মিরাজের। তার বোলিং চাওয়া প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, “আমি মনে করি, সব দলে মিরাজের মতো চরিত্রের প্রয়োজন আছে। কারণ প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান (আসলে ৩৮ রান) দেওয়ার পর সে আমার কাছে এসে বলে, ‘আমাকে বল দিন, আমি খেলা বদলে দেবো।’ সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল। এটি অধিনায়কের কাজ সহজ করে দেয়, যখন আপনার খেলোয়াড়রা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী থাকে। সবসময় হয়তো আমাদের পক্ষে আসবে না, কখনও কখনও আমাদের বিপক্ষেও যেতে পারে।”
শুধু বেলিং নয়, স্লগ ওভারে ব্যাটিংটাও ভালো করেছেন মিরাজ। ১৩ বলে করেছেন ১৯ রান। অধিনায়ক তামিম প্রশংসায় ভাসালেন এই অলরাউন্ডারকে, ‘আমি খুব খুশি যে আত্মবিশ্বাসটা মিরাজের মধ্যে আছে। এমন চাপের মধ্যে ডানহাতির সামনে ছোট বাউন্ডারিতে বোলিং করা, উইকেট এনে দেওয়া…। আমার মতে, সেও আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের কৃতিত্বটা দলের সবার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন তামিম। ম্যাচসেরার পুরস্কার ৬৪ বলে ৭৭ রান করা সাকিবের হাতে উঠলেও, জয়ের পেছনে সবার অবদান সমান দেখছেন তিনি।