বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একটাই কথা—তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) সরাতে হবে। তাদেরকে না সরিয়ে কোনও কিছু করা যাবে না। আমরা জাতীয়ভাবে চেষ্টা করছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।’
শনিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে যেন একইভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি—সেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু আমি বলছি না যে—ইউনাইটেড অ্যালায়েন্স হবে।’
সংবিধান ও রাষ্ট্র ধ্বংসের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে বিচার হবে। এদেশে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মানুষের সঙ্গে। এবং সেই কারণে তাদের অবশ্যই বিচার হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এক যুগে এদেশটা ফোকলা করে দিয়েছে। বাংলাদেশের আত্মাটাকে নষ্ট করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের সুবিধা মতো প্রতিটি নীতিমালা করে থাকে—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া নীতিমালা করা হয়েছে। এরকম নীতিমালা করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে একটা স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। সেই ক্ষতটা হচ্ছে বিভাজন। এই যেমন—সংবাদ ইউনিয়ন দুই ভাগ, সংবাদ কর্মীরা দুই ভাগ। অর্থাৎ এক জায়গায় কেউ নাই। ফলে একটা সর্বজনীন বিষয় ও লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রাম করা বেশ কষ্টসাধ্য।’
সদ্যপ্রয়াত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের প্রতি গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের মানুষ যতদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে ততদিন তাকে মনে রাখবে। নিঃসন্দেহে এদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।’
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কাউন্সিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন প্রমুখ।