২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কোনও আরব দেশ সফর করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরে যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত এই দেশটি এক সময় আসাদ সরকার উৎখাত করতে চাওয়া বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে। তবে এই সফরের মধ্য দিয়ে সিরিয়া ও ইউএই এর সম্পর্ক উষ্ণ হয়ে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা (ডব্লিউএএম) জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সময় যুবরাজ জোর দিয়ে বলেন, ‘আরব নিরাপত্তার স্তম্ভ সিরিয়া এবং ইউএই দেশটির সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহী।’
ডব্লিউএএম প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে যুবরাজ শেখ মোহাম্মদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। আলোচনার সময়েও তাদের হাসতে দেখা যায়।
তবে এই সফর নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট আসাদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা। আর এতে যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্যাপকভাবে হতাশ এবং বিরক্ত’।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদেশ সফর বলতে কেবল রাশিয়া এবং ইরানে গেছেন। বিদ্রোহী মোকাবিলায় দেশ দুইটি তাকে ব্যাপক সামরিক সমর্থন দিয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ শুক্রবার দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।