খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার চার ঘণ্টা পর সেই ইউপি চেয়ারম্যান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সন্ধ্যায় তাকে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে শুনানি শেষে বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকালে চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্থানীয় জনতা মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মেইন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় ইউপি সচিবকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বেধড়ক মারধর করছেন– এমন খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস সচিবের কাছ থেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এমন লিখিত নিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে কয়রা থানায় চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সচিব ইকবাল হোসেন। মামলার পর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে ওই চেয়ারম্যানের দেয়াড় এলাকার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্থানীয় মিডিয়াকর্মীদের ছবি তুলতে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।